প্রথমে অনৈতিক কাজের প্রলোভন। সাড়া না পেয়ে জোর করে এক তরুণীর বিবস্ত্র ছবি ধারণ। একপর্যায়ে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে সেখান থেকে দৌড়ে পালাতে যান ভুক্তভোগী। তবে তাকে ধরে ফেলে পাঁচ তলা ভবনের ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ শনিবার দুপুরে ঢাকার সাভার থেকে মেহনাজ মিশুকে নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আজ সকালে তার মা সাভার মডেল থানায় মিশুর নামে মামলা করেছেন।
মেহনাজ মিশু নিজেকে ঢাকা জেলা যুব মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন। তবে যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি ডেইজি সারওয়ার জানিয়েছেন, মিশু তাদের সংগঠেনর কেউ নন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মিশু শুরুর দিকে সংগীতশিল্পী হিসেবে সাভারে নিজেকে পরিচয় দিতেন। তার বাবা মঞ্জু ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের কেরানি। উঠতি বয়সেই মাদকে আসক্ত হয়ে ধীরে ধীরে পা বাড়ান অপরাধ জগতে। একপর্যায়ে নিজেকে যুব মহিলা লীগের নেত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন।
সাভার থানা যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কনক চাঁপা কনা বলেন, ‘দলের নাম ভাঙিয়ে মিশুর অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও কঠিন প্রতিবাদ জানাই। সেইসঙ্গে কেন্দ্রকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাব সাংগঠনিক ব্যবস্থা খুব দ্রুত নেওয়ার জন্য।’
যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডেইজি সারওয়ার বলেন, ‘মেহনাজ মিশু যুব মহিলা লীগের এই মুহূর্তে পদধারী কেউ নন। তিনি আমার স্বাক্ষর নকল করে ঢাকা জেলা যুব মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিতেন। তার বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’